বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

উত্তর কোরিয়ার বিপরীতে তিন দেশের একযোগে সামরিক মহড়া

উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়া। ছবি: আল-জাজিরা
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত : ৬ অক্টোবর, ২০২২ ১২:৩৯

গত এক সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া অন্তত পাঁচবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। যার মধ্যে সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের ওপর দিয়ে ছুড়ে দেয় পিয়ংইয়ং। এরই পাল্টা জবাব হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র সাগরে একঝাঁক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে সিউলের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ। এর আগে এই দুই মিত্র দেশ পীত সাগরে যুদ্ধবিমান থেকে বোমা মারার মহড়া চালায়। দক্ষিণ কোরিয়ার বিবৃতির বরাতে এ খবর জানায় সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী পৃথক এক বিবৃতিতে জানায়, তাদের একটি হাইয়ুনমো-২ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর পরই ব্যর্থ হয় এবং মহড়া চলাকালে বিধ্বস্ত হয়। দক্ষিণের সামরিক বাহিনী জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটিতে একটি ওয়ারহেড থাকলেও সেটি বিস্ফোরিত হয়নি। তবে কেউ হতাহত হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে তারা। এই ঘটনা কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দাদের যে আতঙ্কের মধ্যে ফেলেছিল, তার জন্য দুঃখও প্রকাশ করে তারা।

উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্টায় সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী ও এর মিত্রদের শক্তি প্রদর্শনী জোরদার করতে দেখা যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি জাপানের সঙ্গেও যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মঙ্গলবার জাপান সাগরে অনুষ্ঠিত এই মহড়ায় অংশ নেয় উভয় দেশের একঝাঁক যুদ্ধবিমান। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর তরফে জাপান সাগরে এই মহড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

হাওয়াইভিত্তিক ইউএস ইন্দো প্যাসিফিক কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষার প্রতি ওয়াশিংটনের ইস্পাতকঠিন অঙ্গীকার অব্যাহত রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের পর জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পাল্টা হামলা চালানোর সক্ষমতা তৈরি থেকে শুরু করে সব ধরনের পথ খোলা রাখছে টোকিও।

গত সপ্তাহে প্রশান্ত মহাসাগরীয় কয়েকটি দেশে সফর করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। আর তার সফরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে বিপজ্জনক ও বেপরোয়া বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়েছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ পরীক্ষাকে ‘বেপরোয়া ও উদ্দেশ্যমূলক উসকানিপূর্ণ কর্মকাণ্ড’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও পিয়ংইংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানিয়েছেন। বলেছেন, এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের লঙ্ঘন। এ প্রসঙ্গে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকেও বসতে যাচ্ছে। অন্যদিকে চীন ও রাশিয়া ১৫ সদস্যের এ পরিষদের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে উন্মুক্ত বৈঠকের বিরোধিতা করেছে। দুই দেশের কূটনীতিকরা বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিক্রিয়া এমন হওয়ার উচিত যেন তা কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা প্রশমনে ভূমিকা রাখে।


ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল: কার ঝুলিতে কত আসন

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়েছে। সংসদের ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ২৪০ আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি। আর প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি আসন। ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে গতকাল বুধবার এইফল প্রকাশ করা হয়েছে।

ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, অন্যান্য দলের মধ্যে সমাজবাদী পার্টি (এসপি) পেয়েছে ৩৭টি, তৃণমূল কংগ্রেস ২৯টি, ডিএমকে ২২টি, তেলেগু দেসম পার্টি (টিডিপি) ১৬টি, জনতা দল (জেডি-ইউ) ১২টি, শিবসেনা (উদ্ভব) ৯টি, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপিএসপি) ৮টি ও শিবসেনা (এসএইচএস) ৭টি আসন।

লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) পাঁচটি আসন পেয়েছে। চারটি করে আসনে জয় পেয়েছে ওয়াইএসআরসিপি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ও কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট)-সিপিআই (এম)। ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লীগ (আইইউএমএল), আম আদমি পার্টি (আপ) ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) তিনটি করে আসন পেয়েছে।

দুটি করে আসন পেয়েছে জনসেনা পার্টি (জেএনপি), কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মার্ক্সিস্ট–লেনিনিস্ট) (লিবারেশন)-সিপিআই (এমএল) (এল), জনতা দল-জেডি (এস), ভিসিকে, কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (সিপিআই), রাষ্ট্রীয় লোক দল (আরএলডি) ও জম্মু অ্যান্ড কাশ্মির ন্যাশনাল কনফারেন্স (জেকেএন)। এছাড়া বেশ কয়েকটি দল একটি করে আসনে জয় পেয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৭ জন। চূড়ান্ত ফলে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স-এনডিএ জোট মোট আসন পেয়েছে ২৮৬টি। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে মোট ২০২টি আসন।

এর আগে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এককভাবে ৩০৩টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। তখন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ পেয়েছিল ৩৫২টি আসন। একক দল হিসেবে এবার সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি। তবে সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় ২৭২টি আসনে জিততে পারেনি তারা। তাই সরকার গঠনে এনডিএ জোট মিত্রদের ওপর নির্ভর করতে হবে তাদের।

২০১৯ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস এককভাবে ৫২টি আসন পেয়েছিল। আর কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ জোট পেয়েছিল ৯৪টি আসন। লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে সরকার গঠনে একটি দলকে ২৭২টি আসনে জয় পেতে হয়।


পদত্যাগপত্র জমা দিলেন মোদি

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর আজ বুধবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। একই দিনে পদত্যাগপত্র জমা দেন তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিপরিষদও।

দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক খবরে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি মুর্মু মোদি ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মন্ত্রীদের দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

সংবাদমাধ্যমটির খবর থেকে আরও জানা যায়, আগামী শনিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের মতো শপথ নিতে পারেন মোদি। একই দিনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের শপথ অনুষ্ঠান হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।

ভারতের ১৭তম লোকসভার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৬ জুন।

ভারতে সাত ধাপে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয় গতকাল মঙ্গলবার। এতে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এককভাবে পায় ২৪০টি আসন। অন্যদিকে বিজেপির বাইরে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের (এনডিএ) অন্য দলগুলো পায় আরও ৫৩টি আসন। এ নিয়ে ২৯৩টি আসন পায় এনডিএ জোট।

বিষয়:

লোকসভা নির্বাচনে মোদির রাজনৈতিক জোটের জয়

আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
বাসস

ভারতে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক জোট জয় পেয়েছে। এর ফলে টানা তৃতীয় বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন তিনি। তবে তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায়নি।

গত এক দশকে প্রথম বারের মতো পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পাওয়ায় বিরোধীরা একে মোদির বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখছে।

মঙ্গলবার ভারতের নির্বাচন কমিশন ও গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৮৬ আসন পেয়েছে। ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২০২টি আসন। বিজেপি একা সরকার গঠনের জন্য ২৭২টি আসন পেতে ব্যর্থ হয়েছে। দলটি পেয়েছে ২৪০ আসন। কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি।

এর মানে বিজেপিকে সরকার গড়তে হলে নির্ভর করতে হবে মূলত দুই শরিক নীতিশ কুমারের জেডি-ইউ ও অন্ধ্র প্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর দল তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) ওপর। এই দুই দলের সম্মিলিত আসন ২৮টি।

নির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপি ও কংগ্রেস উভয় শিবিরেই আনন্দ উদযাপিত হচ্ছে।

রাজধানী নয়াদিল্লীতে উৎফুল্ল সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মোদি বলেছেন, ভারত তার দল ও জোটকে টানা তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠনের রায় দিয়েছে।

তিনি আরো বলেছেন, আমাদের তৃতীয় মেয়াদ হবে অনেকগুলো বড়ো সিদ্ধান্তের একটি এবং দেশ উন্নয়নের নতুন অধ্যায় রচনা করবে। এটা মোদির গ্যারান্টি।

কংগ্রেস ২০১৯ সালের তুলনায় এবারে প্রায় দ্বিগুণ আসনে জেতায় স্বাভাবিকভাবেই উৎফুল্ল দলটি।

দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘দেশের জনগণ নরেন্দ্র মোদিকে বলেছে, আমরা তোমাকে চাই না।’

কংগ্রেসের দলীয় দপ্তরে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল ও প্রিয়াঙ্কাকে পাশে নিয়ে সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই ফল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক ও নৈতিক পরাজয়। গোটা নির্বাচনটাই বিজেপি লড়েছিল মোদির নামে। যাবতীয় গ্যারান্টিও দিয়েছিলেন মোদি। এটা ছিল তাঁর পক্ষে অথবা বিপক্ষের গণভোট। জনতা তাঁর বিরুদ্ধেই মত দিয়েছে।

এদিকে নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ২৮২ আসন পেয়ে সরকার গড়েছিলেন। পরের নির্বাচনে তিনি পান ৩০৩ আসন। এবারে তা নেমে এসেছে ২৪০ আসনে। সরকার গড়ার যে ৩২টি আসন ঘাটতি রয়েছে তার জন্যে মোদিকে নির্ভর করতে হবে জেডি-ইউ, টিডিপি, শিবসেনার শিন্ডে গোষ্ঠী, চিরাগ পাসোয়ানের এলজেপি ও উত্তর প্রদেশের জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডির মতো দলগুলোর ওপর।

নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে ৯৬ কোটি ৮০ লাখ ভোটার ভোট দিয়েছেন যা শতকরা হিসাবে ৬৬.৩। এটি ২০১৯ সালের নির্বাচনের তুলনায় এক শতাংশ কম।

বিশ্লেষকেরা এ জন্যে উত্তর ভারত জুড়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহকে দায়ী করেছেন। ওই অঞ্চলে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।


ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোট পড়ার বিশ্বরেকর্ড

প্রতীকী ছবি
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

এবারের লোকসভা নির্বাচন বিশ্বের সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে বলে দাবি করছেন ভারতের নির্বাচন কমিশনার। রাজীব কুমারের দাবি, সাত দফায় এবারের নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ৬৪ কোটি ২০ লাখেরও বেশি। যা সর্বকালের বিশ্বরেকর্ড।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, সাত দফার ভোট শেষে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল গণনা চলছে আজ। এক এক করে কেন্দ্রগুলো থেকে ফল আসছে।

এবারের নির্বাচনে নথিভুক্ত ভোটার ছিলেন প্রায় ৯৭ কোটি। এদের মধ্যে ৬৪ কোটি ২০ লাখের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন। আর এ সংখ্যাটি অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, জি-সেভেন দেশগুলোর মোট ভোটারের চেয়ে ভারতে ভোট পড়ার সংখ্যাটি দেড় গুণ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের চেয়ে তা আড়াই গুণ।

তিনি নির্বাচনকে একটি ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক ঘটনা বলেও বর্ণনা করেন। তার কথায় ‘সারা বিশ্বে এর কোনো তুলনাই নেই।’

উল্লেখ্য, ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার মোট আসন ৫৪৩টি। এবার নির্বাচন হয়েছে ৫৪২টি আসনে। সরকার গঠন করার জন্য প্রয়োজন ২৭২টি আসন।

বিষয়:

এবার কে বসছেন দিল্লির মসনদে, জানা যাবে আজ

আপডেটেড ৪ জুন, ২০২৪ ০৯:১৯
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

জনসংখ্যার অনুপাতে পৃথিবীর বৃহৎ দেশ ভারত। ১ জুন শেষ হলো দেশটির ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। ৭ ধাপে এই ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করতে ৪৪ দিন সময় লেগেছে। আজ মঙ্গলবার এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। আজ জানা যাবে কে বসতে যাচ্ছেন দিল্লির মসনদে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের কার ভাগ্যে কী আছে সেটাও জানা যাবে আজ।

আজ স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোট গণনা। জানা যাবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের শাসন উঠবে কার হাতে। ভারতের লোকসভায় রয়েছে ৫৪৩টি আসন। ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত ভোট গ্রহণ হয়েছে দেশটিতে। নির্বাচন কমিশন বলছে, চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে রেকর্ড পরিমাণ ৬৪ কোটিরও বেশি মানুষ ভোট দিয়েছে। এসব ভোটারের মধ্যে ৩১.২ কোটি ছিল নারী ভোটার। এ ছাড়া বিশ্বের সবচেয়ে বড় নির্বাচনে ৬৮ হাজারেরও বেশি মনিটরিং টিম এবং দেড় কোটি পোলিং ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত ছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার গতকাল সোমবার জানান, জম্মু ও কাশ্মীরে চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে ৫৮.৫৮ শতাংশ এবং উপত্যকায় ৫১.০৫ শতাংশ।

ভারতজুড়ে এরই মধ্যে ভোট গণনা কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিন স্তরের এই ব্যবস্থায় প্রত্যেক গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে থাকছে ১৪৪ ধারা। কেন্দ্রের ভেতর ও বাইরে থাকছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশ সদস্যা ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের মাইক্রো অবজারভার নিয়োজিত থাকবেন গণনা কেন্দ্রে।

সকাল ৮ থেকে ভোট গণনা শুরু হবে। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম গণনা শুরুর আগে পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরু হবে। এরপর ভোটারের সংখ্যার অনুপাতে ইভিএম গণনার কাজ হবে। প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নিজস্ব এজেন্ট থাকবেন কাউন্টিং স্টেশনে। থাকবেন গণমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকও। দীর্ঘ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দেশটিতে এবার ক্ষমতায় আসার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। যদিও এই দাবি মানতে নারাজ প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্য বিরোধীরা।

ভারতে এবারের লোকসভা নির্বাচনে ছয়টি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল ছাড়াও আড়াই হাজারের মতো প্রাদেশিক রাজনৈতিক দল নিজস্ব প্রতীকে লড়েছেন। নির্বাচনী যুদ্ধে সামিল হয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার প্রার্থী।

বুথ ফেরত সমীক্ষা নিয়ে তুমুল বিতর্ক

ভারতের লোকসভার নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার আগে বুথ ফেরত সমীক্ষা নিয়ে দেশটিতে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। দেশটির অধিকাংশ মূলস্রোতের সংবাদমাধ্যমের যে বুথ ফেরত সমীক্ষা দেখানো হয়েছে, তাতে বলা হচ্ছে বিপুল সংখ্য়াগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে মোদি সরকার।

বস্তুত, অধিকাংশ সংবাদমাধ্যমের সমীক্ষা বলছে, বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ ৩৫০-এর বেশি আসন পেতে চলেছে। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় ২৭২ ম্যাজিক ফিগার। যে দল ২৭২টি আসন পাবে, সে দলই সরকার গঠন করতে পারবে। ২০১৯ সালে বিজেপি একাই পেয়েছিল ৩০৩টি আসন। এনডিএ মিলে পেয়েছিল ৩৩০-এর বেশি আসন। এবার সেই রেকর্ড ভাঙবে বলে বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত।

দেশটিতে রাজ্য ধরে ধরে সমীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে বিজেপি ২৪ থেকে ২৭টি আসন পাচ্ছে। কোনো কোনো সমীক্ষায় বিজেপিকে দেওয়া হয়েছে ৩০-এর বেশি আসন। পশ্চিমবঙ্গে ৪২টি লোকসভা কেন্দ্র আছে। ২০১৯ সালে বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। শাসকদল তৃণমূল জিতেছিল ২২টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছিল দুটি আসন। এরপর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ফল আগের চেয়ে খারাপ হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বুথ ফেরত সমীক্ষায় যে ফল দেখানো হচ্ছে, বাস্তবের সঙ্গে তার মিল কম।

ভারতের ভোট বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে যে ফলাফল দেখানো হচ্ছে, আমার মনে হয় না তা বাস্তবে হবে। আমার ধারণা, তৃণমূল এবং বিজেপি প্রায় সমান সমান আসন পাবে। অর্থাৎ, ২০১৯-এর ফলাফলের চেয়ে বিশেষ কোনো পরিবর্তন হবে না। বিশ্বনাথ মনে করেন, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকার ফিরবে। সেখানেও আসন সংখ্যা আগেরবারের চেয়ে বিশেষ বদলাবে না।

সাংবাদিক এবং দিল্লি প্রেসক্লাবের প্রধান গৌতম লাহিড়ী মনে করেন, বুথ ফেরত সমীক্ষায় যে নম্বর দেখানো হচ্ছে, সেই নম্বরেই ভুল আছে। কর্ণাটকে কংগ্রেস যতগুলো আসনে লড়ছে, তার চেয়ে বেশি সিট দেখানো হয়েছে একটি সমীক্ষায়। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, বুথ ফেরত সমীক্ষা নিরপেক্ষ নয়, রাজনৈতিক মদদপুষ্ট। গৌতমের বক্তব্য, এবারের ভোটে পুরো দেশেই অ্যান্টি ইনকমবেন্সি অর্থাৎ, শাসকবিরোধী মনোভাব দেখা গেছে ভোটারদের মধ্য়ে। ফলে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারবে না বলেই মনে হচ্ছে। আর পশ্চিমবঙ্গে যে ফলাফল দেখানো হচ্ছে, বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটা ঘটবে।

বিজেপি বুথ ফেরত সমীক্ষাকে স্বাগত জানালেও কংগ্রেস ইতোমধ্যেই এর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেস হাইকমান্ড কর্মীদের জানিয়েছে, ভোট গণনার আগে বিরোধী শক্তিকে মানসিক চাপে ফেলতেই গণমাধ্যমকে ব্যবহার করেছে বিজেপি। বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। গণনার দিন কর্মীদের শেষ পর্যন্ত গণনাকেন্দ্রে থাকার হুইপ জারি করেছে কংগ্রেস।

তৃণমূলসহ ইন্ডিয়া জোটের একাধিক দল একই কথা বলেছে। তাদের ভাষ্য, বুথ ফেরত সমীক্ষার ক্ষেত্রেও বিজেপি মিডিয়াকে ব্যবহার করেছে। যে ফলাফল দেখানো হচ্ছে, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনো মিল নেই।


মাঝ আকাশে দুই প্লেনের সংঘর্ষ, এক পাইলট নিহত

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

পর্তুগালে একটি এয়ার শোয়ের সময় মাঝ আকাশে দুটি ছোট প্রশিক্ষণ প্লেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন পাইলট নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরেকজন আহত হন। স্থানীয় সময় রোববার দক্ষিণ পর্তুগালে ভয়াবহ এ ঘটনা ঘটেছে।

আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

পর্তুগিজ বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, এই ঘোষণা করার জন্য আমরা দুঃখিত যে রোববার বিকেলে ছয়টি ছোট প্লেন একটি এয়ার শো প্রদর্শনের সময় দুটি বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।

এ ঘটনায় একজন স্প্যানিশ নাগরিক মারা গেছেন। নিহত ব্যক্তি দুর্ঘটনাকবলিত একটি বিমানের পাইলট ছিলেন বলে বিমানবাহিনীর একজন মুখপাত্র বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন। এ ছাড়া আরেকজন আহত পাইলট পর্তুগিজ নাগরিক। তিনি কিছুটা আঘাত পেয়েছেন। বেজা হাসপাতালে নেওয়ার আগে তাকে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পর্তুগালের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নুনো মেলো সাংবাদিকদের কাছে দুটো প্লেনের সংঘর্ষকে একটি ‘দুর্ঘটনা’ বলে অভিহিত করেছেন এবং সংঘর্ষের সঠিক কারণ বের করতে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুসা বলেছেন, এই এয়ার শো আনন্দের মুহূর্ত হওয়ার কথা ছিল। সবাই এই আনন্দ ভাগ করে নেবে। তবে এটি এখন বেদনার মুহূর্তে পরিণত হয়েছে।


হজের নতুন আইন কার্যকর করল সৌদি, ভাঙলে কঠোর শাস্তি

যারা অনুমতি ছাড়া হজ করবেন তাদের ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সৌদি আরবে পবিত্র হজবিষয়ক নতুন আইন কার্যকর হয়েছে। রোববার (২ জুন) থেকে এই আইন কার্যকর হওয়ার কথা, যা আগামী ২০ জুন পর্যন্ত চলবে। যারা হজের নতুন আইন এবং নির্দেশনা ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে এই কয়েক দিন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নতুন আইন অনুযায়ী, যারা এ বছর অনুমতি ছাড়া হজ করবেন তাদের ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে, যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। অনুমতি ছাড়া কেউ যদি হজযাত্রীদের পরিবহন করেন তাহলে তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার রিয়াল জরিমানা করা হবে, যা বাংলাদিশ অর্থে ১৫ লাখ টাকারও বেশি।

সৌদি আরব ঘোষণা দিয়েছে এবার অনুমতি ছাড়া কাউকে হজ করতে দেওয়া হবে না। অনুমতি ছাড়া কেউ মক্কা, পবিত্র স্থান, হারামাইন ট্রেন স্টেশন, নিরাপত্তা চৌকি, স্ক্রিনিং সেন্টার এবং অস্থায়ী চেকপয়েন্টগুলোর কাছে যেতে পারবেন না।

সৌদিতে যেসব প্রবাসী বসবাস করেন তারা যদি অনুমতি ছাড়া হজ করতে যান এবং আটক হন তাহলে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে এবং নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য আর সৌদিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

এ ছাড়া অনুমতি ছাড়া যারা হজযাত্রীদের পরিবহন করবে তাদের প্রথমে জেলে পাঠানো হবে। সেখানে তাদের ছয় মাস আটক রাখা হবে। এরপর ফেরত পাঠানো হবে নিজ দেশে। এসব ব্যক্তিদেরও একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আর সৌদিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

ট্যুরিস্ট ভিসায় করা যাবে না হজ

ট্যুরিস্ট ভিসায় কেউ হজ করতে পারবে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়েছে সৌদি আরব। যাদের ট্যুরিস্ট ভিসা আছে তাদের ২ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত মক্কার বাইরে থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সৌদি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০ হাজার জনকে পাওয়া গেছে, যারা হজের আইন ভঙ্গ করেছেন।


আম্বানিকে পেছনে ফেলে এশিয়ার শীর্ষ ধনী আদানি

গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানি। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

আবারও সবচেয়ে ধনী ভারতীয়ের মুকুট উঠল গৌতম আদানির মাথায়। মুকেশ আম্বানিকে পেছনে ফেলে ১১১ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি নিয়ে গৌতম আদানিই এখন ভারত তথা এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। খবর এনডিটিভির।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাড়ায় ধনীর তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছেন আদানি। গত ২৪ ঘণ্টায় তার সম্পত্তি ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে একই সময়ে মুকেশ আম্বানির সম্পত্তি মাত্র ৭৬ দশমিক ২ মিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিপুল পরিমাণে সম্পত্তি বৃদ্ধির জেরেই নিজের আসন পাকা করেছেন আদানি।

ব্লুমবার্গের তালিকায় ১১১ বিলিয়ন ডলার সম্পত্তি নিয়ে ১১তম স্থানে অবস্থান করছেন গৌতম আদানি, যা এশিয়া ও ভারতের মধ্যে প্রথম। অন্যদিকে মুকেশ আম্বানি এই তালিকায় ১২তম স্থানে রয়েছেন। তার সম্পত্তির পরিমাণ ১০৯ বিলিয়ন ডলার। তিনি বর্তমানে ভারত তথা এশিয়ার দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি।

গত ২৪ ঘণ্টায় সম্পত্তি বৃদ্ধির নিরিখে গৌতম আদানি ইলন মাস্ক, ওয়ারেন বাফেট, মার্ক জুকারবার্গ ও বিল গেটসকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন। আর সে কারণেই এক লাফে ১১ নম্বর স্থানে উঠে আসতে পেরেছেন আদানি।

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে প্রকাশ পাওয়া হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের জেরে বিধ্বস্ত হয়েছিল আদানি সাম্রাজ্য। বিশ্ব ধনী তালিকার চতুর্থ স্থান থেকে সরাসরি ৩০ নম্বরে ছিটকে গিয়েছিলেন এই ধনকুবের। যদিও বড় ধাক্কা কাটিয়ে এক বছরের মধ্যেই ফের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন গৌতম আদানি।


দৃষ্টিনন্দন আগুনের নদী!

আইসল্যান্ডের লাভাময় নদী। ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

সম্প্রতি দক্ষিণ-পশ্চিম আইসল্যান্ডের একটি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। শুক্রবার পর্যন্ত এটি রেকর্ড পরিমাণ লাভা নির্গত করেছে। আইসল্যান্ডে পাহাড়ের পাশঘেঁষে বয়ে যাচ্ছে এক বিচিত্র নদী। তবে এতে নেই পানির প্রবাহ। এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে আগ্নেয়গিরি ও লোহিত লাভা। দূর থেকে দেখতে এ যেন দৃষ্টিনন্দন আগুনের নদী!

আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এ অগ্ন্যুৎপাতের এক দিন পর থেকে লাভার প্রবাহ শুরু হয়। লাভার স্রোত আইসল্যান্ডের গ্রিনডাভিস শহরে আঘাত হানে। তবে আগে থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

অন্তত চার হাজার মানুষ অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। অগ্ন্যুৎপাতের জেরে আগ্নেয়গিরিতে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ফাটল থেকে ঊর্ধ্বে উঠে আবার ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ছে লাভা। এ যেন ‘প্রকৃতির আতশবাজি।’ রাতে এ দৃশ্য অনন্যসুন্দর আবহ সৃষ্টি করে। আগ্নেয়গিরির কারণে পার্শ্ববর্তী ব্লু লেগুন নামের জনপ্রিয় স্পা সেন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই এলাকায় পর্যটকদের যেতে দেওয়া হচ্ছে না।

গত ডিসেম্বর থেকে পঞ্চমবারের মতো আগ্নেয়গিরিটিতে অগ্ন্যুৎপাত হলো। অগ্ন্যুৎপাতের স্থান থেকে আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকজাভিক মাত্র ৩০ মাইল দূরে। এ থেকে সৃষ্ট গ্যাসের কারণে রাজধানীর বাতাস দূষিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আবহাওয়াবিদরা। আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস জানায়, সুন্দনুকুর নামের ওই আগ্নেয়গিরিটি ৮০০ বছর সুপ্ত অবস্থায় ছিল। তিন বছর আগে এটি সক্রিয় হয়।


ভারতে তাপপ্রবাহ: হিটস্ট্রোকে ৩৩ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের ভারতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তাদের মৃত্যু হয়।

ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ‘আজ শনিবারও দেশটিতে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে।’

মে মাসের শুরু থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে তাপপ্রবাহ। চলতি সপ্তাহে রাজধানী নয়াদিল্লিতে তাপমাত্রা উঠেছিল ৫২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ভারতের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।

আইএমডির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সামনের দিনগুলোতে উত্তরপশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে তাপপ্রবাহ নামতে পারে, তবে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে তা আরও দু’দিন অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়া দপ্তর আরও বলেছে, গ্রীষ্মকালে ভারত যে গড় তাপমাত্রা থাকে—তার তুলনায় চলতি গ্রীষ্মে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ৪ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি গরম পড়েছে।

আগের দিন বৃহস্পতিবার পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারে গরম-হিটস্ট্রোকে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এই মৃতদের মধ্যে ১০ জনই চলমান লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন। ভারতের নির্বাচন আয়োজোনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মীদের সারাদিন কাজের মধ্যে থাকতে হয়, অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় বাইরেও কাটাতে হয়।

ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে শুক্রবার হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ নির্বাচন কর্মকর্তা-কর্মীর। মৃতদের মধ্যে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীও রয়েছেন। এ ছাড়া গরমজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও অন্তত ২৩ জন।

বিষয়:

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোট শুরু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।

আজ শনিবার পশ্চিমবঙ্গসহ আট রাজ্য ও এক কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ৫৭ আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাত, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, দমদম, জয়নগর, যাদবপুর, মথুরাপুর, দক্ষিণ কলকাতা ও উত্তর কলকাতা- এই নয় আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

পশ্চিমবঙ্গের এই ৯ লোকসভা আসনে মোট ১৭,৪০০টি বুথে চলছে ভোট অনুষ্ঠান। এর মধ্যে ৩,৭৪৮টি স্পর্শকাতর ও অতি স্পর্শকাতর বুথ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ইসি।

এর আগে ভারতে ছয় ধাপের ভোট নির্বিঘ্নে মিটেছে। যতটুকু বিক্ষিপ্ত গোলযোগের খবর মিলেছিল তা বাংলা থেকেই। ফলে শেষ ধাপের ভোটপর্বে নিরাপত্তায় আরও নজর বাড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ৯০ হাজারের বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে। যারা ভোটকেন্দ্রে পাহারায় রয়েছেন। পাশাপাশি রাখা হয়েছে ৬০ হাজার আধা সামরিক বাহিনী। যারা কুইক রেস্পন্স টিম (কিউআরটি) হিসেবে কাজ করবে।

কোথাও কোনো অশান্তি বাধলেই মুহূর্তে ছুটে যাবে সেই টিম। বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সংখ্যা। বাংলার পুলিশের সঙ্গে আরও চার রাজ্যের পুলিশসহ ৩৩ হাজার সশস্ত্র পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের ভোট কেন্দ্রে ঢোকার অনুমতি নেই। মাঠ পর্য়ায়ের গোলযোগ সামলাবেন তারা। চরম নজরদারি থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং কলকাতা পুলিশের। বহু স্পর্শকাতর এলাকায় ব্যবহার করা হবে ড্রোন।

পশ্চিমবঙ্গের এই ৯ আসনের মূল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল এবং বিজেপি। কোথাও জোট বেঁধেছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। এ ছাড়া রয়েছে বহু স্বতন্ত্র প্রার্থী। সব মিলিয়ে ১২৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করছেন ১ কোটি ৬৩ লাখের মতো ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৩ দশমিক ১৯ লাখ, নারী ভোটার ৮০.২০ লাখ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৫৩৮ জন।

শেষ ধাপের ভোটেও ভিআইপি প্রার্থীরা রয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম বিজেপির শীর্ষ নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তৃতীয়বারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন মোদি। এই কেন্দ্রে তার প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেসের অজয় রাই।

বিষয়:

ভারত সীমান্তে চীনের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান!

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের সিকিম সীমান্ত থেকে ১৫০ কিলোমিটারের কম দূরত্বে ৬টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান জে-২০ স্টিলথ ফাইটার মোতায়েন করেছে চীন। গত ২৭ মের স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

তিব্বতের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর শিগাৎসেতে অবস্থিত সামরিক এবং বেসামরিক দ্বৈত ব্যবহার উপযোগী বিমানবন্দরের ফ্লাইট লাইনে চীনা বিমানবাহিনীর জে-২০ স্টিলথ ফাইটারের উপস্থিতি দেখা গেছে স্যাটেলাইট ইমেজে। বিমানবন্দরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১২ হাজার ৪০৮ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এটি বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ বিমানবন্দর। একটি কেজে-৫০০ এয়ারবর্ন আর্লি ওয়ার্নিং এবং কন্ট্রোল এয়ারক্রাফটও চোখে পড়েছে।

চীনা যুদ্ধবিমানগুলোর উপস্থিতি সম্পর্কে ভারতীয় বিমানবাহিনী (আইএএফ) অবগত থাকলেও এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেনি।

অল সোর্স অ্যানালাইসিস বলছে, জে-২০ স্টিলথ ফাইটার হচ্ছে এখন পর্যন্ত চীনের সবচেয়ে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। তিব্বতের শিগাৎসেতে এই যুদ্ধবিমানগুলো মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকাটি চীনের স্বাভাবিক অপারেশন এলাকার বাইরে এবং ভারতীয় সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত।

চীনের জে-২০ যুদ্ধবিমানকে মোকাবিলার জন্য ভারত মোতায়েন করেছে ফ্রান্সে নির্মিত ৩৬টি রাফায়েল যুদ্ধবিমানের বহর। এর মধ্যে আটটি রাফায়েল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর (ইউএসএএফ) সঙ্গে বিমানযুদ্ধ অনুশীলনের জন্য আলাস্কায় রয়েছে।

উল্লেখ্য, যেখানে চীনা জে-২০ যুদ্ধবিমানগুলোকে দেখা গেছে সেই স্থানটি পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা থেকে ২৯০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত। আর হাসিমারাতেই ভারত তার ১৬টি রাফায়েলের দ্বিতীয় স্কোয়াড্রন স্থাপন করেছে।

তিব্বতে চীনা জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০২০ এবং ২০২৩ সালের মধ্যে চীনের হোটান প্রিফেকচারের জিনজিয়াংয়ে যুদ্ধবিমানগুলো দেখা গিয়েছিল। তবে এবারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চেংডু জে-২০ যুদ্ধবিমান মাইটি ড্রাগন নামেও পরিচিত। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছিল দ্বৈত ইঞ্জিনের এই যুদ্ধবিমান। জে-২০ কে রাডারে পর্যবেক্ষণ করা বেশ কঠিন। বেশ কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, চীন ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২৫০টির মতো জে-২০ মোতায়েন করেছে।

বিমানবাহিনীতে এই যুদ্ধবিমান অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে চীন বিশ্বের তৃতীয় দেশ হয়েছে যাদের ‘স্টিলথ’ যুদ্ধবিমান আছে, আর এই স্টিলথ যুদ্ধবিমানের রয়েছে রাডারকে ফাঁকি দেওয়ার বিশেষ দক্ষতা। জে-২০ যুদ্ধবিমানের আধুনিকায়ন চলছেই। আকাশে শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখাই এর প্রাথমিক ভূমিকা।

চীনের সবচেয়ে উন্নত এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম এই যুদ্ধবিমান। এর মধ্যে রয়েছে পিএল-১৫ দূরপাল্লার এয়ার-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র- যা ৩০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানতে সক্ষম বলে ধারণা করা হয়।

অল সোর্স অ্যানালাইসিস সিম টাক বলছে, চীন গত পাঁচ বছরে তিব্বত এবং ভারতের নিকটবর্তী অন্যান্য অঞ্চলে ক্রমাগতভাবে তার আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ছিল নতুন বিমান ঘাঁটি নির্মাণ এবং বিদ্যমান বিমান ঘাঁটির অবকাঠামোগত উন্নত করা। চীন অন্তত অস্থায়ী ভিত্তিতে এই সীমান্ত অঞ্চলে জে-২০ এবং এইচ-৬ এর মতো পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম বোমারু বিমান মোতায়েন শুরু করেছে।


বিহারে তীব্র গরমে ১৬ জনের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত
আপডেটেড ১ জানুয়ারি, ১৯৭০ ০৬:০০
দৈনিক বাংলা ডেস্ক

ভারতের বিহারে তীব্র গরমে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঔরঙ্গাবাদ জেলা হাসপাতালে বৃহস্পতিবার তাদের মৃত্যু হয়। এ দিন বিহারে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খবর এনডিটিভির।

হাসপাতালের একজন ডাক্তার জানান, আরও অন্তত ৩৫ জন রোগীকে তাপজনিত কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা হাসপাতালে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ডাক্তার, ওষুধ ও বরফের প্যাক রয়েছে এবং আরও ‘কুলারের’ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিহারে অনেক দিন থেকেই তাপপ্রবাহ চলছে। বুধবার রাজ্য সরকার সব বেসরকারি এবং সরকারি স্কুল, কোচিং ইনস্টিটিউট এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলো ৮ জুন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।

এদিকে, শেখপুরা জেলার একটি সরকারি স্কুলে অন্তত ১৬ জন মেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে না পারায় তাদের টু-হুইলার এবং ই-রিকশায় করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেগুসরাই এবং জামুই থেকেও ছাত্রদের অজ্ঞান হওয়ার খবর এসেছে।

আরজেডি নেতা এবং প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব বিহার সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, বিহারে গণতন্ত্র বা কোনো সরকার নেই। শুধু আমলাতন্ত্র আছে। কেন এখানকার মুখ্যমন্ত্রী এত দুর্বল? এখানে তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি। ডাক্তাররা বলছেন, এমন আবহাওয়ায় শিশুদের সুরক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে এখানে কেন স্কুল খোলা থাকবে?

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ রাজ্যে আগামী দুই দিনের জন্য তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে।


banner close